বরিশালে সরকারী কর্মচারী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের বিভাগীয় সমাবেশ

৯ম পে কমিশন গঠন এবং বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবীসহ ৭ দফা দাবীতে বরিশালে সরকারী কর্মচারী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) নগরীর আছমত আলী খান ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি কর্মচারীরা যোগ দেন।
সরকারি চাকুরীজীবি সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরমের বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক গোলাম কাদের তানুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম পলিন্স, দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমম্বয়ক সরকারি কর্মচারী কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ওয়ারেছ আলী, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ।
সরকারি কর্মচারীদের অন্যান্য দাবীগুলো হলো- ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারনসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, টাইম স্কেল, সিলিকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহালসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ ভাগ এর স্থলে ১০০ভাগ নির্ধারন ও পেনশন গ্রাচ্যুইটির হার ১ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নির্ধারন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, বাজার মূল্যের ঊর্ধগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পূন:নির্ধারন এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারন করতে হবে।
লাখ লাখ সরকারী কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সম্ভব নয়। তাদের দাবী মেনে নেয়া না হলে আগামী (২৭ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করে রাজধানী ঢাকা অবরুদ্ধ করা হবে বলে বক্তারা ঘোষণা দেন।
বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর দাবীগুলো মেনে নেবেন।